Monday, July 9, 2012

Draft Wildlife, Forest Acts Submit objections to NHRC Mizanur asks stakeholders


Monday, July 9, 2012
Metropolitan

Staff Correspondent
National Human Rights Commission Chairman Mizanur Rahman yesterday urged stakeholders concerned of the country's forests to submit their objections on the draft amendment to the Forest Act, 1927 and the draft of Wildlife (Preservation) Act, 2010 to the commission.
“I myself will forward the objections, alongside the commission's recommendations on removing the inconsistencies, to the speaker, standing committee on forest and even to the prime minister,” he said.
Mizanur was addressing a views exchanging meeting jointly organised by Bangladesh Indigenous Network, Parbatya Chattagram Forest and Land Rights Protection Movement and Malaya Foundation in the capital's Jatiya Press Club.
He also urged people to compel the government to listen to their rational demands.
Jatiya Samajtantrik Dal President Hasanul Haque Inu urged the government to withdraw its plan to build a coal-based thermal power plant adjacent to the Sundarbans considering the negative impacts it might have on the forest and its inhabitants.
He also urged the government to consult the stakeholders concerned on their objections before enacting the drafts.
Chakma Raja Barrister Devasish Roy said the government was enacting the two drafts without going through related laws in other countries and this would cause the people of the forest regions to lose their rights.  Parbatya Chattagram Forest and Land Rights Protection Movement Chairperson Gautom Dewan presided over the meeting where Information Commissioner Dr Sadeka Halim and Bela Chief Executive Syeda Rizwana Hasan also spoke.

Prothom Alo




নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১০-০৭-২০১২
জাতীয় সংসদে অনুমোদিত বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার ও পরিবেশকর্মী এবং আদিবাসী নেতারা। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তাঁরা বলছেন, এ আইনে পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অনেক বিষয় আছে।
৮ জুলাই জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হয়। গতকাল পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, মোট ১০ ধরনের রক্ষিত এলাকার ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে আইনটি প্রণয়ন করা হলেও, এ বিষয়ে বন বিভাগের কোনো দায়িত্ব ও কর্তব্য উল্লেখ করা হয়নি। বিশেষ করে যেখানে মাত্র দুই ধরনের রক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনায় বন বিভাগের সাফল্য মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ, সেখানে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়াই বন বিভাগ কীভাবে এত নতুন ধরনের রক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনা করবে, তা বোধগম্য নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনুমোদিত এ আইন ব্যবস্থাপনার নামে বন বিভাগকে প্রাকৃতিক বন খণ্ডিত করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এবং সামাজিক বনায়ন করার সুযোগ করে দিয়েছে, যা কোনোভাবেই বন্য প্রাণীকে রক্ষা করবে না, বরং ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। আইনে অবক্ষয়িত বন ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবনা না করে প্রাকৃতিক বনের ভেতরে বাফার অঞ্চল সৃষ্টি করে সামাজিক বনায়নের জন্য ব্যবহারের আইনগত ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক বনের এমন বিরুদ্ধ ব্যবহারের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার থাকলেও সরকার যেন শেষ পর্যন্ত সেটিকেই বৈধতা দিল, যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে বিরল।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইনে সহব্যবস্থাপনা নামে একধরনের ব্যবস্থাপনা মাধ্যমের বিধান রাখা হয়েছে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থাপনা করার কথা বলা হলেও সহব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও কার্যপরিধি নির্ধারণের যাবতীয় ক্ষমতা সরকারের হাতেই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ জনগণের অংশীদারির নামে আবারও বন বিভাগের হাতেই যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করা হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭৩ সালের বন্য প্রাণী আইন প্রয়োগের অন্যতম দুর্বলতা ছিল রক্ষিত এলাকা ঘোষণার ক্ষেত্রে জনমত যাচাইয়ের বিধান না থাকা এবং প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান না করা। প্রস্তাবিত আইনে একই দুর্বলতা রয়ে গেছে, যা বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী। এ ছাড়া অনুমোদিত আইনের ২(৪৫) ধারায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সংজ্ঞায়িত হলেও কেবল ধারা ৩২ ছাড়া আর কোথাও তাদের কোনো অধিকার রক্ষিত হয়নি। উপধারার ১৩(৩)-এ জেলে ও মাঝিদের পেশাগত, প্রথাগত ও জীবন-জীবিকার অধিকার সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি রাখা হলেও বনবাসীদের পেশাগত, প্রথাগত ও জীবন-জীবিকার অধিকার সংরক্ষণের কোনো প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি। 
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, নানা বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও বননির্ভর জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আইনটির খসড়ার ওপর দফায় দফায় মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটিকে লিখিতভাবে মতামত জানানো হলেও সেগুলো উপেক্ষিত রয়ে গেছে। এমতাবস্থায় অনুমোদিত আইনটির পরিবেশ সংরক্ষণ এবং মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করে আইনটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা জরুরি। অন্যথায় বন ও বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনায় এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার বিষয়ে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই বিবৃতি পাঠান। বিবৃতিতে সই করেন রাজা দেবাশীষ রায়, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করির খুশি কবীর, অ্যাকশন এইডের ফারাহ কবীর, তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম, এলআরডির শামসুল হুদা, পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার আবদুল মতিন ও পবার আবু নাসের খান, প্রকৃতিবিদ রোনাল্ড হালদার, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের গৌতম দেওয়ান, সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, জিডিসন প্রধান ও ইউজিন নকরেক। বিজ্ঞপ্তি। 




No comments:

Post a Comment